যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে, চুকিয়ে দেব বেচা কেনা, মিটিয়ে দেব গো, মিটিয়ে দেব লেনাদেনা, বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে- তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে, তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে যখন জমবে ধূলা তানপুরাটার তারগুলায়, কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়, আহা, ফুলের বাগান ঘন ঘাসের পরবে সজ্জা বনবাসের, শ্যাওলা এসে ঘিরবে দিঘির ধারগুলায়- তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে, তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে তখন এমনি করেই বাজবে বাঁশি এই নাটে, কাটবে দিন কাটবে, কাটবে গো দিন আজও যেমন দিন কাটে, আহা, ঘাটে ঘাটে খেয়ার তরী এমনি সে দিন উঠবে ভরি- চরবে গরু খেলবে রাখাল ওই মাঠে. তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে, তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি. সকল খেলায় করবে খেলা এই আমি - আহা, নতুন নামে ডাকবে মোরে, বাধবে নতুন বাহু-ডোরে, আসব যাব চিরদিনের সেই আমি. তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে, তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে ।।
যদি কেড়ে নিতে বলে কবিতা ঠাসা খাতা যেন কেড়ে নিতে দেব না যদি ছেড়ে যেতে বলে শহুরে কথকতা যেন আমি ছাড়তে দেব না আর আমি আমি জানি জানি চোরা বালি কতখানি গিলেছে আমাদের রোজ আর আমি আমি জানি জানি প্রতি রাতে হয়রানি হারানো শব্দের খোজ আর এ ভাবেই নরম বালিশে তোমার ওই চোখের নালিশে বেঁচে থাক রাত পরী দের স্নান ঠোটে নিয়ে বেঁচে থাকার গান আর এ ভাবেই মুখের চাদরে পরিচিত হাতের আদরে সুখে থাক রাত পরী দের স্নান ঠোটে নিয়ে বাঁচিয়ে রাখার গান যদি নিমেষে হারালে জীবনে পরিপাটি তবু হেরে যেতে দেব না যদি বেচে দিতে বলে শিকড়ে বাঁধা মাটি যেন আমি বেচতে দেব না আর আমি আমি জানি জানি চোরা বালি কতখানি গিলেছে আমাদের রোজ আর আমি আমি জানি জানি প্রতি রাতে হয়রানি হারানো শব্দের খোজ আর এ ভাবেই নরম বালিশে তোমার ওই চোখের নালিশে বেঁচে থাক রাত পরী দের স্নান ঠোটে নিয়ে বেঁচে থাকার গান আর এ ভাবেই মুখের চাদরে পরিচিত হাতের আদরে সুখে থাক রাত পরী দের স্নান ঠোটে নিয়ে বাঁচিয়ে রাখার গান
মন ভালো নেই , বারে বারে মনে হয় তুমি পাশে নেই, ভাবি ধুর যাই কেন কাটেনা সময় ?? সাতটি রঙ্গে তোমাকে খুঁজে বেড়াই বৃষ্টি শেষে দেখা না পেলে বড় অভিমান হয়
রাত কাটে নির্ঘুম, আমি নিশ্চুপ, নিঃস্ব ভেবে যাই ভালোবাসি তোমায় এতটা ।। তোমার হাসিতে হাজার ফুল ফুটে যায় তুমি না আসলে হাসবে কে আমার বাগিচায় ? তোমার জন্য বেদনার গান লিখেছি বুকে সব স্বৃতি গুলো এক করে সুর বেধেছি
মনে একটাই সুখ, আমাকেও খুব ভালোবাসো তুমি তাই ভালোবাসি তোমায় এতটা ।। জানি তুমি ভালো নেই আমায় একা রেখে ভিশন কষ্টে আছ আমাকে না দেখে কতদিন দেখিনি তোমার মুখ খানি ক্ষনিকের জন্য থাক আর যেখানে ফেলে তুমি আসবেই আমার এ জীবনে কারণ, ভালোবাসো আমায় এতটা ।।
সারারাত জেগে জেগে কত কথা আমি ভাবি পাপড়ি কেন বোঝে না, তাই ঘুম আসে না।। তুমি আমি কেন দূরে দূরে খুজে বেড়ায় ঘুরে ঘুরে মন কি যে চাই কাঁদে শুধু বেদনায় পাপড়ি কেন বোঝে না, তাই ঘুম আসে না।। এই মায়াভরা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব চিরতরে সবাই চলে যাই কতটুকুই বা পায় পাপড়ি কেন বোঝে না, তাই ঘুম আসে না।।
হও যদি তুমি নীল আকাশ , আমি মেঘ হব আকাশে হও যদি অথৈ সাগর , আমি ঢেউ হব সাগরে হও যদি ওই হিমালয়, তোমাকে করব আমি জয় তোমাকে চাই তোমাকে তুমি যে আর কারো নয় বলতে পারি আমি নিরভয়ে , তুমি আছ হৃদয়ে বলতে পারি আমি নিরভয়ে , তুমি আছ হৃদয়ে তুমি হলে ওই অরণ্য আমি হব সবুজ ও তোমারি প্রেম মন দুরুন্ত তোমার কাছেই অবুজ হও যদি ওই হিমালয়, তোমাকে করব আমি জয় তোমাকে চাই তোমাকে তুমি যে আর কারো নয় বলতে পারি আমি নিরভয়ে , তুমি আছ হৃদয়ে বলতে পারি আমি নিরভয়ে , তুমি আছ হৃদয়ে আমারি দেহে প্রাণ গো তুমি, তুমি আমার নিশ্বাস ও তোমাকে ছাড়া নিস্প্রান আমি এইত আমার বিশ্সাস হও যদি ওই হিমালয়, তোমাকে করব আমি জয় তোমাকে চাই তোমাকে তুমি যে আর কারো নয় বলতে পারি আমি নিরভয়ে, তুমি আছ হৃদয়ে বলতে পারি আমি নিরভয়ে, তুমি আছ হৃদয়ে
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায় আমি ধরতে পারলে মন বেড়ি দিতাম পাখির পায় আট কুঠরীর ওই দরজাটা মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাটা তার উপরে সদর কোঠা আয়না মহল তায় কপালের খেল নইলে কি আর পাখিটির এমন ব্যবহার খাচা ভেঙ্গে পাখি আমার কোনখানে পালায় মন তুই রইলি খাচার আশে খাঁচা যে তোর কাঁচা বাশে কোনদিন খাচা পড়বে খশে ফকির লালন কেঁদে কয়
মন তোরে বলি যত, তুই চলেছিস তোরিই মত, সাধ্য কি আমার ছুটি তোর পিছনে। মন বলি তুই ফিরে যা, মন ছাড়া কি যায়রে বাচাঁ, তুই ছাড়া কে আর আছে এই জীবনে। কি কারন অকারন এত করিস জ্বালাতন, ভাল লাগে না এ দোটানা ও চাতন সারাক্ষন বলনা তুই বলনা কেন এ ছলনা, ও মন তুই বলনা ভালবাসি বলনা বলনা তুই বলনা ভুলে গিয়ে ছলনা, একবার শুধু বলনা ভালবাসি বলনা ।। এই কথা সেই কথা কত কথা যে বলিস শুধু বলিস না মন কি কয়, ভালবাসা প্রেম-পিরিতি কত কিছু বুঝিস শুধু বুঝিস না মন কি চায় ।। অন্তরটা দিলাম খুলে দেখিস নাতো ফিরে তোর মন বুঝাবি সন্ধ্যায়, হৃদয়টাও রেখেছি জমা তাইতো আসি ফিরে আর কিছুই দেবার তো নাই ।।
তুমি মানুষ নাকি পরী, নাকি স্বর্গে ফোটা কলি ।। তোমায় নিয়ে এখন আমি, ভেবে না পাই কি করি ।।
আমি আর আমাতে নেই তোমায় দেখার পরে, হারিয়েছি সবই আমার তোমায় দুটি চোখে ।। এক পলকে তুমি আমার মন করেছো চুরি মায়া ভরা মুখটি তোমার কি যে জাদু জানে, সব ভুলিয়ে সে যে আমায় শুধুই কাছে টানে ।। তোমার মুখে চেয়ে চেয়ে যেনো আমি মরি
অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান
যেন ভুলে যেওনা।
একি বন্ধনে বাঁধা দু’জনে
এ বাঁধন খুলে যেওনা।।
যত সুর ছিল প্রাণে
সবই দিয়েছি তোমায়
বিনিময়ে তোমারে শুধু
চিরদিন কাছে পায়।
মালা চন্দনে রাঙা এইখানে
কখনো দূরে যেওনা।।
ওই ফুল বনে পাখি
আজ মন জুড়ে যেন গায়
এই হাত বাড়ানো হাতে
চিরদিন যেন ওগো রয়।
মধু কুমকুমে, নাগো মৌসুমে,
কখনো ফেলে যেওনা।।
গ্রামে নয়, গঞ্জে নয় নয়কো সপ্ন ঘুমে তোমার সাথে দেখা হবে তাপানুকুল রুমে যৌবনের এই উচ্ছলতার হঠাৎ থামবে ঘুড়ি আমার মাথা গড়ের মাঠ তুমি হবে বুড়ি... কফি হবে, হুইস্কি হবে জেগে থাকা রাত চাউমিন আর ফ্রাইড রাইস লজ্জা পাবে ভাত! দিনে শোবে আমার কোলে রাতে সঙ্গী অন্য তোমার আমার জীবন হবে কোলাহলে বন্য!
বড় আশা করে এসেছি গো
কাছে ডেকে লও
ফিরাইও না জননী।
দিনহীনে কেহ চাহে না
তুমি তারে রাখিবে জানি গো।
আর আমি যে কিছু চাহিনে
চরণও তলে বসে থাকিব,
আর আমি যে কিছু চাহিনে
জননী বলে শুধু ডাকিব ।
তুমি না রাখিলে গৃহ আর পাইব কোথায়
কেঁদে কেঁদে কোথা বেড়াব
ঐ যে হেরী
তমশ ঘন ঘরা
গহন রজনী ।
তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজায় কবিতায় আছো সরোয়ার্দী, শেরেবাংলা, ভাসানীর শেষ ইচ্ছায়, তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুন জ্বলা জ্বালাময়ী সে ভাষন তুমি ধানের শীষে মিশে থাকা শহীদ জিয়ার স্বপন। তুমি ছেলে হারা মা জাহানারা ঈমামের একাত্তরের দিনগুলি তুমি জসীম উদ্দিনের নকশী কাথার মাঠ, মুঠো মুঠো সোনার ধুলি, তুমি তিরিশ কিংবা তার অধিক লাখো শহীদের প্রান তুমি শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরীর, ভাই হারা একুশের গান। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি, জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায় ভালোবাসি। আমার প্রানের বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি প্রানের প্রিয় মা তোকে, বড় বেশী ভালোবাসি। তুমি কবি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা উন্নত মম্ শির তুমি রক্তের কালিতে লেখা নাম, সাত শ্রেষ্ঠবীর, তুমি সুরের পাখি আব্বাসের, দরদ ভরা সেই গান তুমি আব্দুল আলীমের সর্বনাশা পদ্মা নদীর টান। তুমি সুফিয়া কামালের কাব্য ভাষায় নারীর অধিকার তুমি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের, শাণীত ছুরির ধার, তুমি জয়নুল আবেদীন, এস এম সুলতানের রঙ তুলির আঁচড় শহীদুল্লা কায়সার, মুনীর চৌধুরীর নতুন দেখা সেই ভোর। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি, জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায় ভালোবাসি, আমার প্রানের বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি প্রানের প্রিয় মাগো তোকে, বড় বেশী ভালোবাসি। তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজায় কবিতায় তুমি বাঙ্গালীর গর্ব, বাঙ্গালীর প্রেম প্রথম ও শেষ ছোঁয়ায়, তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুন জ্বলা জ্বালাময়ী সে ভাষন তুমি ধানের শীষে মিশে থাকা শহীদ জিয়ার স্বপন। তুমি একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে বেজে উঠ সুমধুর, তুমি রাগে অনুরাগে মুক্তি সংগ্রামে সোনা ঝরা সেই রোদ্দুর তুমি প্রতিটি পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার, অভিমানের সংসার তুমি ক্রন্দন, তুমি হাসি, তুমি জাগ্রত শহীদ মিনার। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি, জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায় ভালোবাসি। আমার প্রানের বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি প্রানের প্রিয় মাগো তোকে, বড় বেশী ভালোবাসি।